1. »
  2. আন্তর্জাতিক

চীন সীমান্ত ঘেঁষে ভারতের সামরিক বিমান ঘাঁটি উদ্বোধন

শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ০৪:১৭ পিএম | আপডেট: শুক্রবার, ১৪ নভেম্বর, ২০২৫ ০৪:১৭ পিএম

চীন সীমান্ত ঘেঁষে ভারতের সামরিক বিমান ঘাঁটি উদ্বোধন

ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল এ.পি. সিং নতুন এক সামরিক বিমানঘাঁটিতে একটি পরিবহন বিমান অবতরণ করিয়ে এর উদ্বোধন করেছেন। চীনের সঙ্গে বিতর্কিত হিমালয় সীমান্তের কাছে অবস্থিত এই বিমানঘাঁটিটি যুদ্ধবিমান পরিচালনাযোগ্য। 

বৃহস্পতিবার এক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তার বরাতে এ তথ্য জানা গেছে বলে খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এই পদক্ষেপটি এসেছে দুই পারমাণবিক শক্তিধর প্রতিবেশী দেশের মধ্যকার বরফ গলতে শুরু করার প্রেক্ষাপটে। গত বছরের অক্টোবরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর সামরিক উত্তেজনা প্রশমনে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয় এবং এ বছর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির চীন সফরও করেছেন। 

বিমানবাহিনীর প্রধান বুধবার ১৩,০০০ ফুট (৪ কিলোমিটার) উচ্চতায় অবস্থিত লাদাখের মুধ-ন্যোমা বিমানঘাঁটিতে সি-১৩০জে বিমানটি অবতরণ করান। বিষয়টির সংবেদনশীলতার কারণে নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি নিয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে তৎক্ষণাৎ সাড়া দেয়নি। নতুন এই বিমানঘাঁটি অঞ্চলটির তৃতীয় গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি এবং চীন সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে মাত্র ৩০ কিলোমিটার (১৯ মাইল) দূরে অবস্থিত। 

অবসরপ্রাপ্ত এয়ার মার্শাল সঞ্জীব কাপুর তিনি চীন ও পাকিস্তানের কথা উল্লেখ করে এক্সে লিখেছেন, লাদাখে এই নতুন বিমানঘাঁটি, যা যুদ্ধবিমান পরিচালনাযোগ্য, আমাদের দুই প্রতিদ্বন্দ্বীর জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করবে।

চীনেরও অনুরূপ উচ্চতায় একটি বিমানঘাঁটি রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বরফ গলতে শুরু করলেও ভারত ও চীনের মধ্যে অবিশ্বাস এখনো রয়ে গেছে বলে ভারতীয় বিশ্লেষক ও কর্মকর্তারা মনে করেন। 

এ বছর ভারতীয় সেনাপ্রধান উভয় দেশের সীমান্তে সামরিক উপস্থিতি ও অবকাঠামো বৃদ্ধির বিষয়টি আবারও উল্লেখ করেছেন। ভারত ও চীনের মধ্যে ৩৮০০ কিলোমিটার (২,৪০০ মাইল) দীর্ঘ দুর্বলভাবে নির্ধারিত একটি সীমান্ত রয়েছে। এই সীমান্ত ১৯৫০-এর দশক থেকেই বিতর্কিত। ১৯৬২ সালে দুই দেশে সংক্ষিপ্ত হলেও তীব্র এক সীমান্ত যুদ্ধ হয়। 

২০২০ সালের প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘর্ষের পর দুই দেশের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে পড়ে। তবে ২০২৪ সালের চুক্তির মাধ্যমে বরফ গলতে শুরু করে এবং কিছু বিধিনিষেধ শিথিল হয়। এর ফলে সরাসরি ফ্লাইট এবং পারস্পরিক সফর পুনরায় শুরু হয়।