1. »
  2. শিক্ষা

রাবিতে পোষ্য কোটা ইস্যুতে প্রো ভিসির উপর শিবিরের হামলা

বিডি প্রেস ডেস্ক রিপোর্ট শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১০:৪৭ পিএম | আপডেট: রবিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ ১২:৪৭ এএম

রাবিতে পোষ্য কোটা ইস্যুতে প্রো ভিসির উপর শিবিরের হামলা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিবির ও শিবির সমর্থিত শিক্ষার্থী দ্বারা প্রোভিসিকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। 

শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জুবেরী ভবনে এ ঘটনা ঘটে।  এ সময় জুবেরী ভবনে প্রো ভিসি অধ্যাপক মাঈন উদ্দীনকে অবরুদ্ধ করে স্লোগান দেন শিবির ও শিবির সমর্থিত শিক্ষার্থীরা ।উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন, প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতেখারুল আলম মাসউদসহ শিক্ষক-কর্মকর্তারা জুবেরী ভবনে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন। 

ক্যাম্পাসের একাধিক শিক্ষার্থী নিশ্চিত করেছে হামলাকারীরা শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, শনিবার দুপুরে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পোষ্য কোটা পুনর্বহালের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সম্বন্বয়ক পরিচয় প্রদানকারী সাবেক শিবিরকর্মী সালাউদ্দিন আম্মার ও তার অনুসারীরা প্রশাসন ভবনের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মাঈন উদ্দীন ভবন থেকে বের হয়ে গাড়িতে উঠতে গেলে শিবির কর্মীরা তাঁর গাড়ি আটকে দেয়। 

উপ-উপাচার্য প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানকে সঙ্গে নিয়ে বাসভবনের দিকে রওনা দিলে শিবির কর্মীরা তাঁকে অনুসরণ করে বাসভবনের ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। বাধ্য হয়ে তিনি আবার ফিরে আসেন এবং জুবেরী ভবনের শিক্ষক লাউঞ্জে আশ্রয় নেন। পরে উপ-উপাচার্য, প্রক্টরসহ আরো কয়েকজন শিক্ষক ও কর্মকর্তা ভবন থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করলে শিবির কর্মীরা তাদের পথরোধ করে মারধোর করেন।

এ ঘটনায় ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদসহ কয়েকজন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন। তখন তাদের সঙ্গেও অশালীন আচরণ করে শিবির কর্মীরা। বিকেল ৫টার দিকে ঘটনাস্থলে আসেন ছাত্রশিবিরের নেতাকর্মী ও ক্যাডার বাহিনী।

প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমানের ঘড়ি ও ১০ হাজার টাকা কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন তিনি। 

এদিকে প্রত্যাক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, সালাউদ্দিন আম্মার নিজের পরিচয় লুকিয়ে রাখতে চাইলেও তিনি যে শিবির কর্মী এটা রাবির কারো অজানা নয়। সেজন্যই তার ডাকে পরে শিবিরের ক্যাডাররা এসে তার সাথে যোগদান করেন। সাধারণ শিক্ষার্থীরা শিবির কর্মীদের দ্বারা শিক্ষককে মারধোরের কারনে আন্দোলন থেকে সরে যায়। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আইন বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, আম্মার ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত যদিও সে অস্বীকার করে। কিন্তু আজ সাধারণ শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন শুরু করেছিলো সেটাকে অবলম্বন করে শিক্ষকদের গায়ে হাত তুলে সে খুবই অন্যায় করেছে। সালাউদ্দিন আম্মার এবং শিবিরের উচিত প্রকাশ্যে শিক্ষকদের কাছে ক্ষমা চাওয়া।

শিক্ষার্থীরা জানান সালাউদ্দিন আম্মার শিবিরের প্যানেল থেকে রাকসু নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত সে আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেল নাম দিয়ে জিএস পদে নির্বাচন করছে। অনেকেই এটা ধরে নিয়েছে শিবিরের মধ্যে প্রকাশ্য ও গুপ্ত রাজনীতির নীতি থাকার কারণে এই দ্বৈত নীতি তারা গ্রহণ করেছে।