ছাত্র হত্যা মামলার আসামি রেজাউল করিম শেকৃবি’র রেজিস্ট্রার পদে এখনো বহাল তবিয়তে
শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫ ০৪:০৬ পিএম | আপডেট: শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫ ০৪:০৬ পিএম

রাজধানীর প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর ও ছাত্র হত্যা মামলার আসামি শেখ রেজাউল করিম এখনো রেজিস্ট্রার পদে অদৃশ্য শক্তির বলে বহাল তবিয়তে।
এছাড়া সি, আর মামলা নং ৬৩৬ (অ) ২০২৫ (পল্টন থানা) ধারাঃ ১৪৩/১৪৭/১৪৮/১৪৯/৩২৫/৩২৬/৩০৭/৫০৬/১০৯ দন্ডবিধির অন্তর্ভুক্ত মামলার ১নং আসামি সাবেক প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা (৭৬), সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের (৭৪), সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল (৭০), আওয়ামীলীগ নেতা আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম সহ উক্ত মামলার ৫১ নাম্বার আসামি শেখ রেজাউল করিম।
তিনি আওয়ামীলীগ নেতা, ফ্যাসিবাদের দোসর ও অর্থ যোগানদাতা। বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে ফ্যাসিস্ট সরকার এর পতনের পর পুরাতন বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একমাত্র শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এর রেজিস্ট্রার এখনো বহাল আছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সে ফ্যাসিস্ট আমলে দুর্নীতিবাজ শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীদের যাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ এর ঘটনা আছে,যা ভবিষ্যতে তদন্ত হবে তাদের যাবতীয় পেনশন তুলে নিতে সহায়তা করছে। যার মধ্যে সাবেক উপ-উপাচার্য অলোক কুমারকে বিশ্ববিদ্যালয় হতে তার স্বাক্ষরে ঋণ দেয়া হয়েছে।
বিগত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলে শেকৃবি’র রেজিস্ট্রার পদে যোগদানের পর তিনি অবৈধভাবে অঢেল অর্থের মালিকবনে যান, জানা যায় বিগত সকল উপাচার্য তার আওয়ামী শক্তির নিকট জিম্মি হয়ে থাকতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগে ইউজিসি, মন্ত্রণালয়ের নাম বলে নিজের চাকরি প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে বাধ্য করতো উপাচার্যদের। তার বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ২১-২২ সেশন এর প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার হিসাবেও গরমিল করেছে। ভর্তি কমিটি বারবার তথ্য চাওয়ার পর ও বিভিন্ন অজুহাতে সময় ক্ষেপন করে যাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয় হতে গৃহনির্মাণ ঋণ বাবদ নিয়মনীতি উপেক্ষা করে ৯০ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন, যা পেনশন বা অবসরকালীন সময়ে প্রাপ্ত টাকার চাইতে বেশী। তিনি ০৪/ ১২/২০২৪ তারিখে তার জি পি এফ এর সমস্ত টাকা এককালীন উত্তোলন করেছেন।
২০২৪ সালের জুলাই আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমানোর জন্য বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছেন। ধারণা করা হয় এই অসৎ উপায়ে অর্জিত অর্থ তিনি আন্দোলন দমাতে ব্যায় করেছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নিয়মিত কাজ নানান অজুহাতে গড়িমসি করার কারনে প্রসাশনে স্থবিরতা দেখা দিয়েছে । তার কারনে ২০১৭ সালের কর্মচারীদের নিয়োগ বন্ধ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ১৫০ নিয়মিত শ্রমিক মানবেতর জীবন যাপন করছে।
গত ১৭/০৬/২০২৫ তারিখে অনুষ্ঠিত সাদা দলের কার্যকরী কমিটির সভায় একাধিক শিক্ষক তার হত্যা মামলা, কৃষিগুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার টাকার অর্থ আত্মসাৎ, ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর এবং চব্বিশের ছাত্র-জনতার গন অভ্যুত্থানে তার বিরুদ্ধে অর্থ যোগানদাতা হিসেবে শেখ রেজাউল করিমের বিরুদ্ধে শাস্তি দাবী করেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তারা একযোগে তাকে অপসারণের দাবী জানিয়ে আসছে দীর্ঘ দিন হলো।
ফ্যাসিবাদ বিরোধী একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা এবং কর্মচারীর সাথে কথা বলে একই তথ্য পাওয়া যায়। তাঁরা হতাশা প্রকাশ করে জানান,” এভাবে ফ্যাসিস্ট হাসিনার দোসর দোসর এবং খুনের মামলার আসামি এখনো রেজিস্ট্রার পদে বহাল থাকা লজ্জাজনক।
এ ব্যাপারে শেখ রেজাউল করিম এর সাথে কথা বলার জন্য যোগাযোগ চেষ্টা করা হলে জানা যায় সে ছুটিতে আছে।
আরও পড়ুন
- পাঁচ মাস পর কুয়েটের ক্লাস শুরু আজ
- মাইলস্টোনে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সুরভি’তে শোকসভা অনুষ্ঠিত
- নিখোঁজ শিক্ষার্থীদের তথ্য জানতে যোগাযোগ করবেন যেসব নম্বরে
- মাইলস্টোন দুর্ঘটনার পর স্থগিত আজকের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা
- গোপালগঞ্জে আজকের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত
- বিলুপ্ত হচ্ছে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘সহকারী শিক্ষক’ পদ
- সকল হত্যাকান্ড ও নাশকতার সুষ্ঠু তদন্তসহ বিচার নিশ্চিত করতে হবে : ইউট্যাব
- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের পরিবারের পাশে সিকৃবি পরিবার