জাবিতে গাজা খাওয়া অবস্থায় নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ কর্মীসহ আটক ৩
সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫ ১২:১৩ পিএম | আপডেট: সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫ ১২:১৩ পিএম

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) মীর মশাররফ হোসেন হলের এক কক্ষে গাজা খাওয়া অবস্থায় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থীকে আটক করে আবাসিক হলের শিক্ষার্থীরা।
গতকাল রবিবার (২৫ মে) বেলা ২ টার দিকে হলের ২৫৫/বি কক্ষে গাজা খাওয়া অবস্থায় তাদের ধরা হয়। পরে হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান সহ হলের নিরাপত্তা কর্মীরা এসে উপস্থিত হন।
এ কক্ষের বসবাসকারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক (আইআর) বিভাগের ৫০ ব্যাচের শিক্ষার্থী হৃদয় ইসলাম এবং নৃবিজ্ঞান বিভাগের একই ব্যাচের রাইসুল রুবাই। তারা দুইজনেই নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কর্মী ছিল। তারা দুইজনই মীর মশাররফ হোসেন হলের অবৈধ ছাত্র। হৃদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের এলোটেড ছাত্র। রাইসুল রুবাই উক্ত রুমে সিট দখল করে রাখলেও থাকেন অন্য হলে। তিনি ছাত্রলীগ করা কালীন গণরুমে শিক্ষার্থীদের নির্যাতন করতেন বলেও অভিযোগ করেন জুনিয়র শিক্ষার্থীরা। অভিযুক্ত হৃদয় দুইজনের রুমে একাই থাকতেন এবং নিয়মিত গাজার আসর বসাতেন বলে জানা যায়।
অভিযুক্ত অন্য দুইজন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী কিরন সূত্রধর হিমু ও তন্ময় চন্দ্র রায়। তারা দুইজনই আল বেরুনী হলের আবাসিক ছাত্র।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে, নামাজ পড়ে হলের বারান্দা দিয়ে যাওয়ার সময় তারা গাজার গন্ধ পায়। এসময় দরজায় কয়েকজন নক করলে ভেতর থেকে সাড়াশব্দ পাওয়া যায় না। পরে হলের প্রাধ্যক্ষ স্যারকে ডাকলে উনি তাৎক্ষণিকভাবে গাজা খাওয়া অবস্থায় অভিযুক্তদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। গাজার সোর্স সম্পর্কে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করা সত্ত্বেও তারা কোন সদূত্তর দেয়নি।
এ বিষয়ে উক্ত রুমের বাসিন্দা অভিযুক্ত হৃদয় বলেন, আমি গত পরশুদিন ঢাকা থেকে আসার পথে গাজা নিয়ে আসি। আজকে আমি বাড়ি চলে যেতাম। তাই ভাইদের ম্যাসেজে জানিয়েছিলাম আপনারা আসতে পারেন। পরে ওনারা আসে। হল প্রশাসনের মাদকবিরোধী জিরো টলারেন্সের নীতি আমি জানতাম। আমার ভুলের জন্য ক্ষমাপ্রার্থী।
অভিযুক্ত কিরন সূত্রধর হিমু গাজা খাওয়ার বিষয় স্বীকার করে বলেন, হৃদয়ের সাথে আমার পূর্বপরিচয় ছিল না। আজকে তন্ময়ের সাথে বটে আড্ডা দেওয়ার সময় ওর সাথে হৃদয়ের রুমে আসি।
অভিযুক্ত তন্ময় চন্দ্র রায় দোষ স্বীকার করে বলেন, বেলা ১১ টার দিকে আমাকে হৃদয় হলে গাজা খেতে আসতে বলে। পরে আমি আর হিমু হলে আসি।
মীর মশাররফ হোসেন হলে মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স উল্লেখ করে হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মাহমুদুর রহমান বলেন, হৃদয়কে শোকজ করা হবে এবং তাকে আজকে বিকেলের মধ্যে হল ত্যাগ করতে বলেছি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস বরাবর অভিযোগপত্র দেব এবং যেহেতু সে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের এলোটেড শিক্ষার্থী তাই ওই হলের প্রভোস্ট মহোদয়কে অবহিত করব।
আরও পড়ুন
- জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু
- রিটার্নিং কর্মকর্তার অনুমতি নিয়েই ঢুকেছি : ভিপি পদপ্রার্থী আবিদুল
- ডাকসু নির্বাচন : নিরাপত্তার চাদরে ডাকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস
- ভোটের পরিবেশ সামগ্রিকভাবে ভালো : জিএস পদপ্রার্থী হামিম
- ডাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ চলছে
- পরীক্ষার ফরম পূরণে আর্থিক সহায়তা দিলেন ছাত্রদল নেতা সূর্য
- মরহুম এম. সাইফুর রহমানকে সিকৃবি ভাইস-চ্যান্সেলরের সম্মাননা স্মারক প্রদান
- ডাকসু নির্বাচন প্রচারণার শেষ দিন আজ