1. »
  2. আইন আদালত

যে কারণে জামিন পেলেন না মাহমুদুর রহমান

রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:০৬ পিএম | আপডেট: রবিবার, ২৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:০৬ পিএম

যে কারণে জামিন পেলেন না মাহমুদুর রহমান

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও তার তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। 

আজ রবিবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুবুল হকের আদালতে তিনি আত্মসমর্পণ করে আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এদিন তার আইনজীবী ডিভিশন চেয়ে আবেদন করেন। বিচারক কারাবিধি অনুযায়ী কারা কর্তৃপক্ষকে ডিভিশন দিতে নির্দেশ দেন। 

এ বিষয়ে মাহমুদুর রহমানের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী কোনো আদালত যদি এক বছরের বেশি কারাদন্ড দেন তাহলে তিনি এ মামলায় জামিন দিতে পারেন না। এ আদালত থেকে গত বছরের ১৭ আগস্ট মাহমুদুর রহমানকে সাত বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়েছিল। এক ধারায় পাঁচ বছর আরেক ধারায় দুই বছরের কারাদন্ড দেয়া হয়। ফৌজদারি কার্যবিধি অনুযায়ী এ আদালত মামলায় জামিন দিতে পারেন না। আমরা দ্রুত মহানগর দায়রা আদালতে মাহমুদুর রহমানের জামিন আবেদন করবো। আশা করি তিনি জামিন পাবেন। 

২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আসাদুজ্জামান নুর এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাংবাদিক শফিক রেহমান ও দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ পাঁচজনের সাত বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেন। দন্ডপ্রাপ্ত অন্য আসামিরা হলেন জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুন, তার ছেলে রিজভী আহাম্মেদ ওরফে সিজার এবং যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান ভূঁইয়া। রায়ে আদালত অপহরণচেষ্টার দায়ে আসামিদের পাঁচ বছরের কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদন্ড দেন। পাশাপাশি হত্যার ষড়যন্ত্র করায় আসামিদের দুই বছরের কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও একমাসের কারাদন্ড দেন। আসামিদের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধারার সাজা একসঙ্গে চলবে বলে রায়ে উল্লেখ করেন বিচারক।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১১ সালের সেপ্টেম্বরের আগে যে কোনো সময় থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির সাংস্কৃতিক সংগঠন জাসাসের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনসহ বিএনপি ও দলটির নেতৃত্বাধীন জোটভুক্ত অন্য দলগুলোর উচ্চ পর্যায়ের নেতারা রাজধানীর পল্টনের জাসাস কার্যালয়ে, আমেরিকার নিউইয়র্ক শহরে, যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় একত্র হয়ে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করেন। এ ঘটনায় ডিবি পুলিশের তৎকালীন পরিদর্শক ফজলুর রহমান ২০১৫ সালের ৩ আগস্ট বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রæয়ারি সাংবাদিক শফিক রেহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। মামলায় সজীব ওয়াজেদ জয়সহ ১২ জনের সাক্ষ্য নেন আদালত।