ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার : নজরুল ইসলাম খান
বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০৩:০৩ পিএম | আপডেট: বুধবার, ১৫ মে, ২০২৪ ০৩:০৩ পিএম

আগামী তিন মাসের মধ্যে রিজার্ভ শূন্যতে পৌঁছে যাবে এমন মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার।
আজ বুধবার ১৫ মে জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরাম খাঁ হলে বাংলাদেশ লেবার পার্টি উদ্যোগে বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবদুল মতীন এর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে 'ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠায় জাতীয় ঐক্য' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
একটি দুঃসময় অতিক্রম করেছে দেশ এমন মন্তব্য করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, সরকারের উৎপাদন করার চেয়ে আমদানি করার চাহিদা বেশি। কমে গেছে রপ্তানি আয়ও। দেশে প্রবাসী আয় কমেছে। দেশকে এখন পুরোপুরিভাবে পরনির্ভরশীল করে ফেলেছে আওয়ামী লীগ। কোনো দিক থেকে আমরা ভালো কিছু দেখছি না। দেশে ব্যাংক লুট হয়ে যাচ্ছে; কিন্তু কোনো বিচার হচ্ছে না। দেশে রিজার্ভ কমে যাচ্ছে; কিন্তু, সরকার এখন ঋণ করে রিজার্ভ বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আমাদের রপ্তানির আয় এখন হুমকির মুখে। আমাদের দেশে গ্যাসের সন্ধান করে মানুষের চাহিদা মেটানোর চেয়ে গ্যাস আমদানি করার চাহিদা সরকারের বেশি।
তিনি বলেন, দেশে লোডশেডিং হচ্ছে; আর অন্য দিকে ক্যাপাসিটির নামে কোটি কোটি টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এই লুটপাটের মাশুল দিতে হচ্ছে জনগণকে। সারা দুনিয়ায় তেলের দাম কমে গেলেও আমাদের দেশে তেলের দাম বেড়ে গেছে। দেশে বেকার সংখ্যা বেড়ে গেছে। জিনিস পত্রের দাম হুহু করে বেড়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশের গবেষকরা বলছে প্রতিবছর দেশে গরীবের সংখ্যা বাড়ছে। শিশু মৃত্যুর হার বাড়ছে। জিনিসপত্রের দাম বাড়ার মানে হলো প্রকৃত মজুরি কমে যাওয়া। এই সরকার কোনো কিছুর পরোয়া করে না।
তিনি আরও বলেন, এদেশের সাধারণ মানুষ বড় কষ্টে আছে। আমাদের ১৬ টা চিনিকল ছিল। এখন বর্তমানে মাত্র ৭ টা আছে; কিন্তু, সেগুলোও তেমন ভালো নয়। আমরা আজকে নির্ভরশীল হয়ে গেছি। আজকে উৎপাদন করে চাহিদা মেটানোর চেয়ে আমদানি করে চাহিদা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এদেশটাকে একেবারে নির্ভরশীল করে ফেলা হয়েছে। যে দেশ পরনির্ভরশীল হয় ঐদেশকে কোনো মতে ভালো দেশ হিসেবে গণ্য করা যায় না। দেশকে বাঁচাতে হবে। যারা দেশকে সর্বনাশের দিকে ঠেলে দিয়েছে, তাদের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে হবে।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বলেন, দেশে যদি ছাত্র আন্দোলন থাকতো তাহলে হয়তো এই সরকার ক্ষমতায় থাকতে পারতো না। এই সরকার খুব একটা সুখে নেই। ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচন আরও খারাপ হয়েছে। দেশে রিজার্ভ কমে গেছে। তিনমাসে বাংলাদেশের রিজার্ভ একেবারে জিরো হয়ে যাবে। বাংলাদেশের সরকার ক্ষমতায় নিয়ে একটু বেশি দুশ্চিন্তায় আছে। আমাদেরকে একটা কার্যকর ঐক্য তৈরী করে আন্দোলনে নামতে হবে। একটু বড় ধরনের ধাক্কা দিলেই পড়ে যাবে সরকার।
বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারী জেনারেল এডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন হেলাল প্রমুখ।
আরও পড়ুন
- জনতার মেয়র হিসেবে দুই সিটিকে সহযোগিতার ঘোষণা ইশরাকের
- এনসিপির বিরূদ্ধে জনগণ ফুঁসে উঠেছে : ইশরাক
- লন্ডনে সালমান এফ রহমানের ছেলে শায়ানের সম্পত্তি জব্দ
- ইশরাক সমর্থকদের রাতভর অবস্থানের পর সকালেও বিক্ষোভ অব্যাহত
- ইশরাক হোসেনকে মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে মৎস্য ভবন এলাকায় চরম বিক্ষোভ
- হান্নান মাসউদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ এনসিপির
- চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে আহত রাকিবুলের খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
- নগর ভবনের সামনে টানা ৬ষ্ঠ দিনের মতো বিক্ষোভে রাজধানীবাসী