1. »
  2. শিক্ষা

ঢাবি থেকে চূড়ান্তভাবে বিচ্ছিন্ন সাত সরকারি কলেজ

শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:০৫ এএম | আপডেট: শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৫ ১১:০৫ এএম

ঢাবি থেকে চূড়ান্তভাবে বিচ্ছিন্ন সাত সরকারি কলেজ

অবশেষে সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের বহু প্রতীক্ষার অবসান হলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) থেকে অধিভুক্ত সাতটি সরকারি কলেজের ‘সম্মানজনক পৃথকীকরণ’-এর সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। দীর্ঘদিনের জটিলতা ও আলোচনার পর বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) ঢাবির সিন্ডিকেট সভায় এই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের জন্য এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে যাচ্ছে, যেখানে তারা আরও স্বতন্ত্র প্রশাসনিক কাঠামোর আওতায় পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এই চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। 

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকেই সাত কলেজের ভর্তি কার্যক্রম আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে না। মূলত, গত কয়েক বছরের ব্যবস্থাপনায় নানা সমস্যা ও শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে সাত কলেজের জন্য সম্মানজনক পৃথকীকরণের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই ধারাবাহিকতায় ইউজিসির সুপারিশের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্মতি দেয় এবং ঢাবি সিন্ডিকেট তা আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মুন্সী শামস উদ্দিন আহম্মদ জানান, পৃথকীকরণের ফলে আগামী শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা প্রস্তাবিত নতুন কাঠামোর অধীনে অনুষ্ঠিত হবে। তবে প্রয়োজনে ঢাবি প্রশাসন যথাযথ সহায়তা দিতে প্রস্তুত থাকবে। সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাত কলেজ নিয়ে ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি (ডিসিইউ)’ নামে একটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়া চলছে, যার প্রস্তাব ইউজিসি ইতিমধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় চালু না হওয়া পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন প্রশাসনের অধীনে পরিচালিত হবে সাত কলেজ। প্রায় দুই লাখ শিক্ষার্থীর জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তরের সূচনা।

ঢাবির অধিভুক্তি থেকে সাত কলেজের মুক্তি এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশাসনিক সক্ষমতা ও স্বতন্ত্র পরিচয় গঠনে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের সুষ্ঠু শিক্ষা পরিবেশ নিশ্চিত করতে দ্রুত অন্তর্বর্তী প্রশাসনের কাঠামো ঘোষণার প্রস্তুতিও চলছে। এ সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে সাত কলেজের শিক্ষার মান উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে—এমন আশাবাদী শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাই।