1. »
  2. জাতীয়

পহেলা মে থেকে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা

বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ০১:৩৪ পিএম | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৫ ০১:৩৪ পিএম

পহেলা মে থেকে ডিম ও মুরগি উৎপাদন বন্ধ ঘোষণা

আগামী ১ মে থেকে ডিম ও মুরগি উৎপাদনকারী সব খামার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশন (বিপিএ)। লোকসানের মুখে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দাবি বিপিএর।

আজ বৃহস্পতিবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। সারা দেশের খামারিদের তাদের খামার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

গণমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে সংগঠনটির সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার অভিযোগ করেন, দেশজুড়ে প্রান্তিক ডিম ও মুরগি খামারিদের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে। গত দুই মাসে তারা প্রায় ১ হাজার ২৬০ কোটি টাকার লোকসানের মুখে পড়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে পোল্ট্রি খাত ধ্বংসের মুখে পড়লেও সরকারের নিরব ভূমিকা পালন করছে।

তার দাবি, রমজান ও ঈদ মৌসুমেও ভয়াবহ লোকসান দিয়ে প্রান্তিক খামারিরা প্রতিদিন ২০ লাখ কেজি মুরগি উৎপাদন করেছেন।

প্রতি কেজিতে ৩০ টাকা লোকসানে, এক মাসে লোকসান হয়েছে প্রায় ৯০০ কোটি টাকা।
সুমন হাওলাদার বলেন, আমরা কর্পোরেট দাসত্ব মানব না। আগামী পয়লা মে থেকে সারা দেশে প্রান্তিক খামারিরা খামার বন্ধ রাখবেন। এই কর্মসূচি চলবে যতক্ষণ না সরকার সিন্ডিকেট ভাঙতে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

বিবৃতিতে তিনি বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে ১০ দফা দাবি জানান। এসব দাবি মানার না হলে কঠোর কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলেও জানানো হয়েছে। 

দাবিগুলো হচ্ছে-
১. পোল্ট্রি পণ্যের জন্য জাতীয় মূল্যনিয়ন্ত্রণ নীতিমালা ও নির্ধারণ কমিটি গঠন করতে হবে। 

২. কন্ট্রাক্ট ফার্মিং নিয়ন্ত্রণে কঠোর আইন করে এটি নিষিদ্ধ করতে হবে।

৩. পোল্ট্রি বাজার রেগুলেটরি অথরিটি গঠন করতে হবে।

৪. ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের জন্য সরকারের পুনর্বাসন প্যাকেজ দিতে হবে। 

৫. খামারিদের রেজিস্ট্রেশন ও আইডি কার্ড দিতে হবে। 

৬. কোম্পানিকে কেবল কাঁচামাল উৎপাদনে সীমাবদ্ধ রাখতে হবে। 

৭. কন্ট্রাক্ট ফার্মিং ও কোম্পানির খামার নিষিদ্ধ করতে হবে।

৮. কেজি ভিত্তিক ডিম ও মুরগি বিক্রির নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। 

৯. ডিম-মুরগির রপ্তানির সুযোগ বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নিতে হবে। 

১০. এবং পূর্ণাঙ্গ ‘পোল্ট্রি উন্নয়ন বোর্ড’ গঠন করতে হবে।