গাজীপুরে ঘোড়ার মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি
বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫ ১১:০৩ এএম | আপডেট: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫ ১১:০৩ এএম

গাজীপুরের হায়দারবাদ এলাকায় ঘোড়ার মাংস বিক্রি নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
গতকাল মঙ্গলবার অভিযান চালিয়ে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
গাজীপুরের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দীন এবং গাজীপুর সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ শাহীন মিয়া এই অভিযান চালান। অভিযানে ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং এর কার্যকারিতা নিশ্চিত করতে নিয়মিত নজরদারি চালানোর ঘোষণা দেওয়া হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জালাল উদ্দীন বলেন, দেশে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রি অপ্রচলিত। তাই বিভিন্ন মহল থেকে ঘোড়া জবাই ও মাংস বিক্রিতে আপত্তি ওঠায় অভিযান চালানো হয়। এক বিক্রেতাকে ঘোড়ার মাংস বিক্রি বন্ধ করতে বলা হয়েছে।
গাজীপুরের প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহীন মিয়া বলেন, ২০১১ সালের পশু জবাই ও মান নিয়ন্ত্রণ আইন অনুযায়ী, স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে এবং কোনো সনদ ছাড়া পশু জবাই ও মাংস বিক্রি দণ্ডনীয়। এক বছরের জেলও হতে পারে।
তিনি আরো জানান, মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলামকে ডেকে কঠোরভাবে সতর্ক করা হয়। অন্যথায় বুধবার থেকে গ্রেপ্তার ও জেল জরিমানা করা হবে।
চলতি বছরের শুরুতে গাজীপুরের হায়দারবাদ এলাকায় বাণিজ্যিকভাবে ঘোড়ার মাংস বিক্রি শুরু হয়।
প্রথমে প্রতি কেজি ২০০ টাকায় বিক্রি করা হলেও চাহিদা বাড়ায় পরে ৩০০ টাকা কেজি করা হয়।
ঘোরার মাংস বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, গরুতে চর্বি আছে, ঘোড়ার মাংসে কোনো চর্বি নেই। খেতেও গরুর মাংসের চেয়ে সুস্বাদু। খাওয়ার পর হাত ধুতে সাবান লাগে না। প্রথমে ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করতাম।এখন বিক্রি করি প্রতি কেজি ৩০০ টাকায়।
আরও পড়ুন
- ২৪০ গার্মেন্টস গ্রুপ বন্ধ; অনন্ত জলিলের দাবি মিথ্যা : প্রেস সচিব
- আগে সংস্কার না নির্বাচন প্রশ্নে চাপে নেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
- মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন পাচার হওয়া ১৮ বন্দি
- আসন্ন ঈদে লম্বা ছুটি পাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
- গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল ৩০ জুন পর্যন্ত
- জাপান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ
- নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের সংশোধনীর খসড়া নীতিগত অনুমোদন