মিয়ানমার থেকে দেশে ফিরলেন পাচার হওয়া ১৮ বন্দি
বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫ ১০:৫২ এএম | আপডেট: বুধবার, ১৯ মার্চ, ২০২৫ ১০:৫৬ এএম

মানবপাচারের শিকার হয়ে মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে বন্দি জীবন কাটানো ১৮ বাংলাদেশি দেশে ফিরেছেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে তাদের দেশে ফেরার তথ্য জানিয়েছে ব্র্যাক।
ব্র্যাক জানায়, ভালো চাকরি ও বেতনের প্রলোভন দেখিয়ে মানবপাচারকারীরা এই বাংলাদেশিদের প্রথমে থাইল্যান্ডে নিয়ে যায়। সেখান থেকে তাদেরকে নেওয়া হয় মিয়ানমারের স্ক্যাম সেন্টারে। সেখানে পাচারকারীরা তাদের দিয়ে জোরপূর্বক সাইবার অপরাধমূলক কাজে করাতো। কেউ রাজি না হলে বৈদ্যুতিক শকসহ ভয়াবহ নির্যাতন করা হতো। এমন নির্যাতনে একজন অসুস্থ হয়ে রক্তবমি শুরু করলে তার সঙ্গে জুনায়েদ নামে এক বাংলাদেশিকে দিয়ে হাসপাতালে পাঠানো হয়। এরপর জুনায়েদ সেখান থেকে পালিয়ে নদী পেরিয়ে থাইল্যান্ডে চলে আসেন। এরপর তিনি বাকিদের উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেন।
ব্র্যাকের সহযোগী পরিচালক শরিফুল হাসান (মাইগ্রেশন অ্যান্ড ইয়ুথ প্ল্যাটফর্ম) জানান, জুনায়েদসহ ভুক্তভোগীদের পরিবার থেকে তাদের উদ্ধারের জন্যে ব্র্যাকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এরপর বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও থাইল্যান্ডের বাংলাদেশ দূতাবাসসহ সবার নিরলস প্রচেষ্টায় দুঃসহ বন্দিদশা থেকে মুক্তি পান ১৮ বাংলাদেশি। মঙ্গলবার রাতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটে তারা দেশে ফিরেছেন।
উদ্ধার ব্যক্তিরা হলেন- ওমর ফারুক, রাশেদুল ইসলাম রিফাত, আলিফ ইমরান, মোহাম্মদ রায়হান সুবহান, এস কে আরমান, পাভেল চৌধুরী, মনির হোসেন, ইসমাইল হোসেন, নাজিম উদ্দীন, জহির উদ্দিন, তানভীর আহাম্মেদ রাফি, তাইনুর খলিলুল্লাহ, সায়মন হোসেন আবির, উজ্জ্বল হোসেন, মেহেদী হাসান শান্ত, মোহাম্মদ কায়সার হোসেন, শাহ আলম ও আকাশ আলী।
আরও পড়ুন
- ঈদের পর দেশে ফিরছেন খালেদা জিয়া
- ২৪০ গার্মেন্টস গ্রুপ বন্ধ; অনন্ত জলিলের দাবি মিথ্যা : প্রেস সচিব
- আগে সংস্কার না নির্বাচন প্রশ্নে চাপে নেই জাতীয় ঐকমত্য কমিশন : আলী রীয়াজ
- প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ
- গাজীপুরে ঘোড়ার মাংস বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি
- আসন্ন ঈদে লম্বা ছুটি পাচ্ছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা
- গুম তদন্ত কমিশনের মেয়াদ বাড়ল ৩০ জুন পর্যন্ত
- জাপান রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে সেনাপ্রধানের সৌজন্য সাক্ষাৎ