তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস আজ
শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫ ১১:২৩ এএম | আপডেট: শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫ ১১:২৩ এএম

আজ ৭ মার্চ। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১৯তম কারাবন্দি দিবস। ২০০৭ সালের এই দিনে কোনো পরোয়ানা, মামলা, জিডি, এমনকি সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ ছাড়াই বিতর্কিত সেনা সমর্থিত মঈনউদ্দিন ও ফখরুউদ্দিনের সরকার জরুরি বিধিমালায় গ্রেফতার করা হয় এই রাজনীতিককে। বিএনপি দিনটিতে তারেক রহমানের কারাবন্দি দিবস হিসাবে পালন করে।
বস্তুত ২০০১ সালের নির্বাচনে বিএনপির বিজয়ের পর তারেক রহমান দেশি-বিদেশি যড়যন্ত্রকারীদের টার্গেট হন। ১/১১’র জরুরি অবস্থাকালীন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের সে টার্গেট বাস্তবায়নের অপচেষ্টা করে। তাকে শুধু রাজনৈতিক ময়দান থেকে নয় দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলে।
অন্যদিকে তার চরিত্র হরনের জন্য চলে গোয়েবলসীয় কায়দার মিথ্যাচার। অথচ সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দুই বছর ও বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের টানা প্রায় ১৬ বছরে রাষ্ট্রীয় সর্বশক্তি দিয়ে টাস্কফোর্স, এনবিআর, দুদকসহ সরকারের সব সংস্থাই দেশে-বিদেশে অনুসন্ধান করেও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, চাঁদা দাবি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ৮৩ মামলা করার তথ্য মেলেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে পর ৪টি মামলা বাদে একেক করে মামলাগুলো নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। মামলাগুলোর মধ্যে অনেকগুলো খারিজ এবং কিছু মামলায় খালাস দেওয়া হয়। মামলা চলার মতো উপাদান না থাকায় কয়েকটি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
১/১১ সরকারের হাতে গ্রেফতারের পর তারেক রহমানের ওপর পুলিশ রিমান্ড ও কারাগারের অন্ধপ্রকোষ্ঠে নিষ্ঠুর নির্যাতনের চালানো হয়। একটানা ৫৫৪ দিন বা ১৮ মাস কারাবাস করতে হয় তাকে। এরপর ১২টি মামলায় জামিন পেয়ে ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি পিজি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মুক্তি পান।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান মনে করেন, তারেক রহমানকে যখন কারাগারে নিক্ষেপ করা হয় তখন তিনি ছিলেন একজন উদীয়মান রাজনীতিক। এরপর কেটে গেছে আরও প্রায় দুই দশক। এই সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রের বিকাশ-বিচ্যুতি দেখেছেন। রাজনীতির মাঠে খেলেছেন প্রতিপক্ষের সঙ্গে। দলকে সুসংগঠিত করে স্বৈরাচার হাসিনার বিরুদ্ধে করেছেন লাগাতার লড়াই-সংগ্রাম। তার নেতৃত্বে দল হয়েছে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় শক্তিশালী। সবশেষ চব্বিশের হাসিনা পতন আন্দোলনে তিনি ও তার দল বিএনপি সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মাঠে। জনগণের মৌল-মানবিক অধিকার নিশ্চিত করতে অকাতরে প্রাণ বিসর্জন দিয়েছে তার দলের অসংখ্য নেতাকর্মী। এসব কারণে রাজনীতিক তারেক রহমান এখন আর কোনো নির্দিষ্ট দল-মতের মানুষের নেতা নন। তিনি এদেশের মুক্তিকামী আপামর জনতার প্রিয় নেতৃত্ব।
সংগৃহীত
আরও পড়ুন
- দেশে বেড়েছে ধর্ষণ, নেই নারীদের নিরাপত্তা : রিজভী
- মাগুরায় নির্যাতিত শিশুর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন তারেক রহমান
- উত্তরাঞ্চল ছাত্র ফোরামের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- নড়াইলে বিএনপির অফিসে বোমা হামলায় আহত ৩
- আমার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ তিন নারী 'মা, স্ত্রী ও কন্যা' : তারেক রহমান
- কারাগার থেকে হৃদয়ের মনিকোঠায় তারেক রহমান
- সপ্তাহের ব্যবধানে 'এনসিপি' থেকে তিন নেতার পদত্যাগ
- জুলহাসের প্রতিভাকে সম্মান জানাতে সহযোগিতায় পাশে দাঁড়ালেন তারেক রহমান