হবিগঞ্জে ১১ ছাত্র-জনতাকে হত্যাকারী পুলিশ সুপার জাতিসংঘ মিশনে মনোনীত
বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:২১ পিএম | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ০২:৪৮ পিএম

হবিগঞ্জে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ১১ জন ছাত্র-জনতাকে হত্যাকারী অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল হককে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে মনোনীত করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার ১৯ ফেব্রুয়ারি পুলিশ হেডকোয়াটার্স কর্তৃক প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১২ সদস্যের তালিকায় ঘাতক এই পুলিশ সুপারের নাম ৩ নম্বরে দেখা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কঙ্গোতে মোতায়েনের জন্য প্রথমিকভাবে মনোনিত নিম্নেবর্ণিত সদস্যগণকে যাথা সময়ে রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স মাঠে রিপোর্টিং, স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পিটিসির জন্য অনুরোধ করা হল।
বর্তমানে মৌলভীবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শামসুল হক ছাত্র জনতার ঘাতক। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় এই ঘাতক মহারাজ হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব প্রাপ্ত ছিল।
সরকার পতনের আন্দোলনে শামসুল হকের নেতৃত্বে হবিগঞ্জে ১১ জন ছাত্র জনতাকে নৃশংশভাবে হত্যা করে পুলিশ। এই খুনিকে এবার বিদেশের শান্তি মিশনে পাঠানো হচ্ছে। মিশনের নীতিমালা অনুসারে এই খুনি কি মিশনে যেতে পারেন? তবুও আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি অতৃপ্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামসুল হক চলে যাচ্ছেন কঙ্গো মিশনে।
স্বৈরাচার হাসিনা সরকার তার খমতায় দীর্ঘ দিন বলবৎ থাকার লক্ষ্যে পুলিশ প্রশাসন তার পছন্দের ব্যক্তি দ্বারা ভরিয়ে ফেলেছিল। তারা এখনো তাদের স্ব স্ব স্থানে বলবৎ রয়েছে। গুটি কয়েক পুলিশ আর আওয়ামী নেতাকর্মীদের আটক করতে পারলেও বেশি ভাগ হাসিনার সাজানো আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা ঘাপটি মেরে বসে আছে। কয়েকদিন আগে আমেরিকার স্যাংশন প্রাপ্ত সাবেক পুলিশের আইজিপি বেনজির এক ভিডিওতে বলে, "পুলিশের বেশিভাগ সদস্য আওয়ামী লীগের সমর্থক।"
এই কথার যুক্তিও খুজে পাওয়া যায়। কারণ, গত ১৬ বছরে ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার কোনো সাধারণ ব্যাক্তিকে পুলিশসহ নানান আইন সৃঙ্খলা বাহিনীতে প্রবেশ করতে দেয়নি। সব ছিল আওয়ামী লীগের সমর্থক। যারা আইন সৃঙ্খলা বাহিনীতে যোগদানের জন্য সুপারিশ প্রাপ্ত হত তাদের ফ্যামিলি আওয়ামী লীগ করে কি না নিশ্চিত হয়ে তাদের নিয়োগ দেয়া হত।
এছাড়া খমতায় টিকে থাকতে আয়ামী লীগ-ছাত্রলীগসহ তাদের অঙ্গ সংগঠণের নেতা কর্মীদের আত্মীয় স্বজনদের দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে নিয়োগ দিয়েছে হাসিনা সরকার। তারা এখনো গোপনে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
এই পুলিশ সুপার শামসুল হকের মত অনেকে রাষ্ট্রের ভিবিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদের বসে রয়েছে এবং নিবিড়ভাবে তাদের অনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি প্রতিনিয়ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এ বিষয়গুলি অবগত করলেও তারা সুস্পষ্ট কোনো পদক্ষেপ এখনো নিতে পারেনি।
আরও পড়ুন
- আজ টানা তৃতীয় দিন বিশ্বের দূষিত শহরে তালিকায় শীর্ষে ঢাকা
- ন্যায্য হিস্যা আদায় : তিস্তা বাঁচানোর পদযাত্রায় জনস্রোত
- রাজধানীতে প্রকাশ্যে দা দিয়ে দম্পতিকে কোপানোর ভিডিও ভাইরাল, আটক ২
- সুপারিশপ্রাপ্ত শিক্ষকদের আন্দোলনে পুলিশের বাধা, জল কামান নিক্ষেপ
- রাজধানীর ইসলামবাগে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৮ ইউনিট
- দীর্ঘ ৮ বছর পর নাফ নদীতে মাছ ধরার অনুমতি, জেলেদের মাঝে উৎসব
- বিজিবির প্রতিবাদের পর কুড়িগ্রাম সীমান্তের সিসিটিভি ক্যামেরা সরাল বিএসএফ
- কনটেন্ট ক্রিয়েটর কাফির বাড়িতে পরিকল্পিতভাবে আগুন দেয়ার অভিযোগ