1. »
  2. শিক্ষা

বুয়েটে ছাত্রলীগে সংশ্লিষ্ট থাকা ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০৩ পিএম | আপডেট: বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫ ১২:০৩ পিএম

বুয়েটে ছাত্রলীগে সংশ্লিষ্ট থাকা ৮ শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) ছাত্রলীগের রাজনীতি ফেরাতে সংশ্লিষ্ট থাকায় আট শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি আরও ৫২ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার ও শোকজ করা হয়েছে। রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা বুয়েট ক্যাম্পাসে গত বছরের মার্চে ছাত্রলীগের ছত্রছায়ায় রাজনীতি ফেরাতে তারা বেশ সরব ছিলেন। বিষয়টি তদন্ত করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুয়েটের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ কে এম মাসুদ। তবে শাস্তি পাওয়া কারো নাম প্রকাশ করা হয়নি।

গত ২০২৪ সালের মার্চ মাসে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পুরকৌশল বিভাগের ইমতিয়াজ রাব্বি ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক ইনানকে নিয়ে বুয়েট ক্যাম্পাসে লোকসমাগম ঘটান। এ ঘটনা জানাজানি হলে উত্তাল হয়ে পড়ে ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে তাদের বহিষ্কার দাবি করেন।

তারা দাবি জানান, রাজনৈতিক সমাগমের মূল সংগঠক ইমতিয়াজকে বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করতে হবে। তার সঙ্গে জড়িত শিক্ষার্থী এ এস এম আনাস ফেরদৌস, হাসিন আরমান নিহাল, অনিরুদ্ধ মজুমদার, জাহিরুল ইসলাম, সায়েম মাহমুদকে বুয়েট থেকে স্থায়ী একাডেমিক ও হল থেকে বহিষ্কার এবং জড়িত অন্যদের অবিলম্বে শনাক্ত করে শাস্তি দিতে হবে।

আন্দোলন চলার মধ্যেই ছাত্রলীগের একটি রিটে হাইকোর্ট বুয়েটে রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত স্থগিত করায় বুয়েট শহিদ মিনারে শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান ছাত্রলীগের তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক হাসিন আজফার পান্থ, কেমিকেল অ্যান্ড ম্যাটারিয়ালস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আশিক আলম, সাগর বিশ্বাস, অরিত্র ঘোষ, ২১তম ব্যাচের অর্ঘ্য দাস এবং সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর স্বপ্নীলসহ ১০-১২ জন। তারা গণমাধ্যমেও বক্তব্য দেন।

এ সব ঘটনায় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে ৪১টি সভা এবং ডিসিপ্লিনারি বোর্ডের ৭টি সভা করে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান ছাত্র কল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মাসুদ।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বুয়েট প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ৪১টি মিটিং করে। এছাড়া ডিসিপ্লিনারি কমিটি আরও সাতটি বৈঠক করে। সেখানে অভিযোগ যাচাই বাছাই করে দেখা যায়, অভিযুক্তরা বিশ্ববিদ্যালয়ের যে অর্ডিন্যান্স রয়েছে সেটির ধারা লঙ্ঘন করেছেন। এজন্য আট শিক্ষার্থীকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও ১২ জনকে চার থেকে ছয় সেমিস্টার/টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তাদের সাজা আজ থেকে কার্যকর হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, ছয়জনকে দুই সেমিস্টার/টার্মের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে এই ছয়জনের বহিষ্কারাদেশ এখন স্থগিত আছে। যদি তারা ভবিষ্যতে কোনো অপরাধ করে থাকে তাহলে তাদের বহিষ্কার তখন থেকে কার্যকর হবে। এর বাইরে সাতজনকে হল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আরও ২৭ শিক্ষার্থীকে সতর্ক করা হয়েছে। শাস্তিপ্রাপ্তদের চিঠি দিয়ে অবহিত করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।