1. »
  2. আন্তর্জাতিক

প্রত্যর্পণের চাপের মধ্যেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫ ১২:০৪ পিএম | আপডেট: বুধবার, ৮ জানুয়ারী, ২০২৫ ১২:০৪ পিএম

প্রত্যর্পণের চাপের মধ্যেই হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়াল ভারত

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে ভারতে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণে ঢাকার পক্ষ থেকে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি। 

আজ বুধবার সকালে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। 

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার গুম ও জুলাই গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। পাসপোর্ট বাতিলের পরেই ভারতের এমন সিদ্ধান্ত।

এছাড়া গত ৬ জানুয়ারি একাধিক মামলায় হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আন্তর্জাতিকা অপরাধ ট্রাইবুনাল। গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের সাথে যুক্ত থাকায় তাকে গ্রেফতারের পদক্ষেপ গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইবুনাল। সেই সাথে বাংলাদেশ পুলিশকে ১২ ফেব্রুয়ারির মধ্য হাসিনাসহ ১১ আসামিকে প্যানেলের সামনে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল।

কয়েকটি সুত্র থেকে জানা গেছে, ভারতে শরনার্থী এবং অ্যাাসাইলামের কোনো সুনির্দিষ্ট আইন নেই। অ্যাাসাইলাম পাওয়ার যে প্রক্রিয়া সেটিও হাসিনা পালন করেনি। অ্যাসাইলামের যে যোগ্যতা প্রয়োজন সেটিও হাসনার নেই। 

সুত্রটি আরও জানায়, হাসিনাকে ভারতে আশ্রয় দেয়াতে ভারতের সাধারণ জনগণ ক্ষুব্ধ। তারা বলছেন, মোদি সরকার একটি দেশের সকল জনগণের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করে একটি রাজনৈতিক দলের সাথে সুসম্পর্ক করেছে। যা পরারাষ্ট নীতি বহির্ভূত।

এদিকে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার মঙ্গলবার বিকালে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, গুম ও জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকায় সরকার শেখ হাসিনাসহ ৯৭ জনের পাসপোর্ট বাতিল করেছে।

ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সমসাময়িক বিষয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে উপ-প্রেস সচিব আরও বলেন, বিভিন্ন অপরাধে ৯৭ জনের পাসপোর্ট‌ বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে জুলাই বিপ্লবে গণহত্যায় জড়িত ৭৫ জন এবং গুমের সঙ্গে যুক্ত থাকায় ২২ জনের পাসপোর্ট বাতিল করা হয়।

গত ২৩ ডিসেম্বর শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ভারতকে চিঠি দেয় বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার। তবে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।