1. »
  2. আইন আদালত

অর্থ পাচার মামলার দণ্ড থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস

বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৪:৫৬ পিএম | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৪:৫৬ পিএম

অর্থ পাচার মামলার দণ্ড থেকে গিয়াস উদ্দিন আল মামুন খালাস

অর্থ পাচারের অভিযোগে করা মামলায় ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে বিচারিক আদালতের দেওয়া কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডের রায় বাতিল করেছেন হাইকোর্ট।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিল মঞ্জুর করে বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বৃহস্পতিবার এ রায় দেন।

বিচারিক আদালতের রায় বাতিল হওয়ায় এই মামলায় মামুন খালাস পেলেন বলে জানিয়েছেন তাঁর আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী।

ওই মামলায় ২০১৯ সালের ২৪ এপ্রিল রায় দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩-এর বিচারক। রায়ে মামুনকে ৭ বছর কারাদণ্ড এবং ১২ কোটি টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। এ ছাড়া লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে থাকা বাংলাদেশি টাকায় ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়।

বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে আপিল করেন মামুন। এই আপিলের শুনানি শেষে আজ রায় দেওয়া হয়।

আদালতে মামুনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ওমর সাদাত ও সাব্বির হামজা চৌধুরী। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হাসান।

পরে আইনজীবী সাব্বির হামজা চৌধুরী বলেন, এ নিয়ে দণ্ড হওয়া তিনটি মামলায় মামুন খালাস পেলেন। আরও তিনটি মামলায় তাঁর বিরুদ্ধে দণ্ড রয়েছে। জামিনে মামুন গত ৬ আগস্ট মুক্তি পেয়েছেন।

২০১১ সালের ২২ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামুনের বিরুদ্ধে ওই মামলা করে দুদক। মামলার অভিযোগের ভাষ্য, বাংলাদেশ রেলওয়ের সিগন্যালিং ব্যবস্থা আধুনিকীকরণের টেন্ডার পান বিটিএল ও গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালের চেয়ারম্যান এম শাহজাদ আলী। কিন্তু কাজের আদেশ চূড়ান্ত হওয়ার পর মামুন তাঁর কাছে অবৈধভাবে টাকা দাবি করেন। এরপর হুমকি দিয়ে ২০০৩ থেকে ২০০৬ সালের মধ্যে ৬ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৭৬২ টাকা নেন মামুন। পরে ওই টাকা লন্ডনের ন্যাটওয়েস্ট ব্যাংকে পাচার করেন তিনি।

মামলা করার পর ২০১২ সালের ২৯ এপ্রিল মামুনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। এর আগে ২০০৭ সালের ৩০ জানুয়ারি গ্রেপ্তার হন মামুন।