1. »
  2. রাজনীতি

শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে : সেলিমা রহমান

সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ০৮:৩২ পিএম | আপডেট: সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ০৮:৩২ পিএম

শেখ হাসিনা ভারতে বসে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে : সেলিমা রহমান

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের অন্যান্য নেতাকর্মী ভারত ও অন্যান্য দেশে অবস্থান করে বাংলাদেশে বিশৃঙ্খলা তৈরি করে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান। 

আজ সোমবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মহিদুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে সংবর্ধনা ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মহিদুর রহমান স্বদেশ প্রত্যাবর্তন আয়োজক কমিটি আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। 

সেলিমা রহমান বলেন, যে লক্ষ্যে বৈষম্য বিরোধীরা আন্দোলন করেছে, বিএনপি গত ১৭ বছর ধরে জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দেয়ার জন্য আন্দোলন করছে তা এখনো পূরণ হয়নি। হ্যাঁ, আমাদের একটা সরকার আছে। তারা কাজ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু স্বৈরশাসক যিনি পালিয়ে গিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, সেখান থেকে তিনি একেকদিন একেকটা ফোনকল ছাড়ছেন, যত আওয়ামী লীগ নেতারা পালিয়ে আছে, তারা দেশের মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, যাতে এই দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়। 

তিনি আরও বলেন, আমরা একটা কঠিন সময়ে বাস করছি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যদিয়ে স্বৈরশাসক দেশ থেকে পালিয়ে গেলেও তাদের দোসররা এখনও সক্রিয় আছে। আজকে বিভিন্নভাবে নানা ধরনের সংকট তৈরি করা হচ্ছে। 

বিএনপি ক্ষমতার জন্য লড়াই করে না জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি লড়াই করে জনগণের কল্যাণের জন্য। কারণ আপনারা দেখেন একের পর এক যতগুলো স্বৈর সরকার এসেছে- শহীদ জিয়া থেকে শুরু করে বেগম খালেদা জিয়া যিনি মিথ্যা মামলায় আজকে জর্জরিত। তারপর তারেক রহমান তার বিরুদ্ধেও অসংখ্য মিথ্যা মামলা। ১৭ বছরে কত নেতা গুম-খুন-হত্যা হয়েছে। কতকিছু আমাদের ওপর দিয়ে গেছে। তারপরও এসব মিথ্যা মামলা নিয়ে বিএনপি বারবার জনগণের পাশে দাঁড়াচ্ছে। 

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের কোটা আন্দোলন ছিল মেইন, তারপর সেটা এক দফা আন্দোলনে পরিণত হয়। সেই আন্দোলনে অনেক মা তার সন্তান হারিয়েছে, অনেক ছেলে তার বাবা হারিয়েছে। আজকে অনেকে আহত, এদের ভবিষ্যৎ এখনো আমরা জানি না। চেষ্টা করা হচ্ছে তাদেরকে সুস্থ করে যেনো একটা ভবিষ্যৎ দেয়া যায়। এতো কষ্টের পর আমরা যে স্বাধীনতা পেয়েছি কিন্তু সেই স্বাধীনতার পূর্ণ স্বাদ আমরা উপভোগ করতে পারিনি। কারণ স্বৈর সরকারের কিছু চক্রান্তকারী বারবার তা ধ্বংস করে।  

তিনি বলেন, আজকে মনে রাখতে হবে- সংস্কার মানে যেমন সংস্কার দেশের আছে, রাষ্ট্রের আছে; রাজনৈতিক দলেরও সংস্কার করতে হবে। অনেকে বক্তৃতা করার সময় পেছনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলে, আমি বলতে চাই এই ছবি কোনো কাজে আসবে না। যদি আমরা কোনো কাজ না করতে পারি, আমরা যদি জনগণের কল্যাণ করতে না পারি। আমাদের মনে রাখতে হবে, আমাদের দেশনেত্রী বেগম  খালেদা জিয়া অনেক কষ্ট করেছেন, তবুও তিনি মাথানত করেন নাই। 

তিনি বলেছেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও। এরজন্যই তিনি আজীবন লড়াই করেছেন। বিএনপির এই নেতা বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশ সবসময় চেষ্টা করছে বাংলাদেশকে একটি অঙ্গরাজ্যে পরিণত করা এবং তার জন্যই তারা চাইতো আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকুক। কিন্তু বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা সে পরিকল্পনা নস্যাৎ করে দিয়েছে।  

সেলিমা রহমান বলেন, কেউ হয়তো ভাবতে পারেনি যে, শেখ হাসিনার পতন হবে, কিন্তু আল্লাহ চাইলে যখন যা ইচ্ছা তাই করতে পারেন। এখন সময় এসেছে মানুষের পাশে দাঁড়ানো, তাদের জন্য কাজ করা। সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম মহাসচিব আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু, কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন প্রমুখ।