1. »
  2. রাজনীতি

মেজর জলিলকে বীর উত্তম খেতাব ফিরিয়ে দিতে হবে : হাফিজ

রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ০৬:৩৭ পিএম | আপডেট: রবিবার, ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ০৬:৫০ পিএম

মেজর জলিলকে বীর উত্তম খেতাব ফিরিয়ে দিতে হবে : হাফিজ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম বলেন, ইতিহাসের এক কালজয়ী ব্যক্তিত্ব ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের ৯নং সেক্টর কমান্ডার মেজর এম. এ জলিল। তাকে তার মরণোত্তর বীর উত্তম খেতাব ফিরিয়ে দিতে হবে। এটি রাষ্ট্র ও সরকারের দায়িত্ব। 

আজ রবিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নিচতলার নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বরিশাল বিভাগ সমিতির উদ্যোগে “মুক্তিযুদ্ধের ৯ম সেক্টর কমান্ডার, বাংলাদেশের প্রথম রাজবন্দি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) এম. এ জলিলের ৩৫তম মৃত্যুবার্ষিকী” উপলক্ষে স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। 

হাফিজ বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সেক্টর কমান্ডারের নেতৃত্বে বরিশালে ব্যাপক কর্মকান্ড করেছিলেন তিনি। অথচ স্বাধীন বাংলাদেশে গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস কারাবরণ করেন। তিনি জাসদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ছিলেন। আমৃত্যু সংগ্রামী জীবন তাকে করেছিল প্রতিবাদী। জালিম ও লুটেরা শাসকের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন অকুতোভয়। দেশপ্রেমিক হিসেবে তিনি সারা বাংলার মানুষের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন। আর সেটিই তার জীবনে কাল হয়ে গিয়েছিল। এখন সময় এসেছে তাকে মূল্যায়ন করার। 

তিনি বলেন, বরিশাল বিমানবন্দর তার নামে করা উচিত। এছাড়াও যারা জীবনে মুক্তিযুদ্ধ করেনি তাদের নামে কি করে ক্যান্টনমেন্ট হয়। বরিশাল বিভাগে তাদের নামে যা কিছু আছে সবকিছু বাতিল করে দিতে হবে। কোন ব্যক্তির নামে ক্যান্টনমেন্ট হতে পারে না। 

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে ৫৩ বছরের রাজনীতিতে কেউ পালিয়ে যায়নি। কিন্তু ফ্যাসিবাদী হাসিনা এদেশে গুম, খুন, হত্যার রাজনীতি করার কারণে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। দুপুরে নিজের খাবারটাও খেতে পারেনি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে আমাদের প্রত্যাশা অনেক রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি তারা আগামী ৬ মাসের মধ্যে জাতিকে একটি নির্বাচন উপহার দেবে। সেই নির্বাচনে যারাই ক্ষমতায় আসুক না কেন আমরা তাদেরকে সাদরে গ্রহণ করবো। সেখানে সবার ভোটের অধিকার থাকবে। গণতন্ত্র থাকবে, মানবাধিকার থাকবে। 

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, বরিশালবাসী বিভিন্ন সময়ে নিজেরা অনৈক্য থাকেন। আর এ কারণে বরিশালে ঐক্যবদ্ধভাবে কোন অর্জন হয় না। এখন সময় এসেছে নিজেদের মধ্যে ঐক্য সৃষ্টি করা। সকল ভেদাভেদ ভুলে একসাথে কাজ করার। আমার জীবনের প্রথম সময় বরিশাল জেলা স্কুলে কেটেছে। আমি সেখান থেকে এসএসসি পাস করেছি। আমাদের ঐতিহ্যবাহী স্কুলে ১৫০ বছর পুরানো হলে আমরা একটি অনুষ্ঠান করতে গিয়ে বুঝতে পেরেছিলাম আমাদের মধ্যে কত প্রকার বিভেদ রয়েছে। এখন বিভেদের সময় নেই, এগিয়ে যাওয়ার সময়। 

সংগঠনের সভাপতি ইকবাল হোসেন ফোরকান এর সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. জয়নুল আবেদীন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিল সদস্য, অ্যাড. মজিবর রহমান সরোয়ার, অ্যাড.  সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইলিয়াস খান, বরিশাল বিভাগ সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শাহাবুদ্দিন রেজা প্রমুখ।