1. »
  2. জাতীয়

চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে করা হয় মুজিবের ১০ হাজার ম্যুরাল

বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৩৭ এএম | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ৭ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:৩৭ এএম

চার হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে করা হয় মুজিবের ১০ হাজার ম্যুরাল

বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল ও ভাস্কর্য নির্মাণে সরকারের বিশাল অংকের ব্যয়ের পর, নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর এগুলো ভাঙা শুরু করেছে। 

১৫ বছরের মধ্যে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দেশের বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলে বঙ্গবন্ধুর ১০ হাজারেরও বেশি ম্যুরাল, ভাস্কর্য ও প্রতিকৃতি স্থাপন করা হয়, যার জন্য ব্যয় হয়েছে হাজার হাজার কোটি টাকা।

সরকারি কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মতে, এই ম্যুরাল নির্মাণে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হয় যে, চার হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এসব ভাস্কর্য, ম্যুরাল ও প্রতিকৃতির জন্য প্রধানত স্থানীয় প্রশাসন এবং বিভিন্ন সরকারি মন্ত্রণালয় ছিল দায়ী। 

বিশেষ করে, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের পাশাপাশি প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের অধীনে বিভিন্ন দপ্তরও নিজের উদ্যোগে এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করে।

কিন্তু, বর্তমান সরকারের পতনের পর, ৫ আগস্টের পর বেশ কিছু ম্যুরাল ও ভাস্কর্য ভেঙে ফেলা হয়েছে, এবং যেগুলো ভাঙা সম্ভব হয়নি, সেগুলোতে কালি মাখিয়ে বিকৃত করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া, অনেক স্থানে সংস্কারের মাধ্যমে এগুলোকে এমনভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে যে, বোঝা যায় না যে সেগুলো আগে ভাস্কর্য বা ম্যুরাল ছিল।

নতুন সরকার এসব স্থাপনাকে অপচয় হিসেবে দেখছে এবং এতে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অতিরিক্ত ব্যয় হয়েছে বলে মন্তব্য করছে। 

২০২১ সালের মার্চে একটি উচ্চ আদালতের প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, দেশে বঙ্গবন্ধুর মোট ১,২২০টি ম্যুরাল ও ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া, আরও হাজারো ছোট-বড় ম্যুরাল এবং ভাস্কর্য দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে স্থাপন করা হয়েছিল।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় সরকার বিভাগের তত্ত্বাবধানে এসব স্থাপনা নির্মাণে প্রায় কোনো পৃথক প্রকল্পও গৃহীত হয়নি, বরং প্রতিটি দপ্তরের বাজেট থেকেই এই খাতে ব্যয় করা হয়। এসব স্থাপনায় ব্যয় হওয়া অর্থের হিসাব আলাদাভাবে রাখা হয়নি, যাতে প্রকৃত ব্যয়ের পরিমাণ সঠিকভাবে গণনা করা সম্ভব না হয়।