1. »
  2. শিক্ষা

দুর্নীতিবাজদের রোশানলের স্বীকার এনআইবির নবনিযুক্ত ডিজি

সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ০৯:৪০ পিএম | আপডেট: সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ০৯:৪০ পিএম

দুর্নীতিবাজদের রোশানলের স্বীকার এনআইবির নবনিযুক্ত ডিজি

বাংলাদেশের জীব প্রযুক্তিবিদদের কেন্দ্রীয় সংস্থা ও অন্যতম বৈজ্ঞানিক গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি মহাপরিচালক হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়েছেন বাংলাদেশের প্রথিতযশা জীব প্রযুক্তিবিদ, বিশিষ্ট গবেষক এবং সংগঠক অধ্যাপক ড. শাহেদুর রহমান। বাংলাদেশে জীবপ্রযুক্তি বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থী সমাজ, শিক্ষকবৃন্দ এবং জীবপ্রযুক্তিবিদদের জন্য এটি একটি অত্যন্ত আনন্দ ও অনুপ্রেরণার বিষয়। 

তিনি বাংলাদেশের প্রথম বায়োটেকনোলজি বিভাগের প্রথম ব্যাচের অন্যতম গ্রাজুয়েট। দীর্ঘদিন জাপানে এম এস, ডক্টরেট, পোস্ট ডক্টরেট এবং কর্পোরেট রিসার্চ সেন্টারে চাকরির পর ২০১১ সালে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি বিভাগে যোগদান করেন।

অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান একাধারে একজন ভালো শিক্ষক এবং রিসার্চার। তাঁর হাত ধরেই ২০১৭ সালে প্রথম গড়ে উঠেছে বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ বায়োটেকনোলজি গ্রাজুয়েটস (বিএবিজি)। তিনি বাংলাদেশের জীবপ্রযুক্তি প্রসারে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তিনি জীবপ্রযুক্তিবিদদের কেন্দ্রীয় সংগঠন বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ বায়োটেকনোলজি গ্রাজুয়েটস এর সভাপতির দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করে যাচ্ছেন। 

এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের জীবপ্রযুক্তি নীতিমালা প্রণয়ন কমিটিতে ছিলেন। এর বাইরেও তিনি বাংলাদেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে সিলেবাস প্রণয়ন করেছেন। স্বাস্থ্য সেবায় করোনা মহামারীর সময় জীব প্রযুক্তিবিদদের স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তিকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন তিনি। বিসিএস পরীক্ষায় বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়েকে অন্তর্ভুক্ত করনে মুখ্য ভূমিকা পালন করেন, যা ছিল বায়োটেক গ্র্যাজুয়েটদের প্রাণের দাবি। জীবপ্রযুক্তিবিদদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশে যে উদ্যোগ তৈরি হয়েছে তার প্রাণ ও চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করেছে তার নেতৃত্বাধীন সংগঠন। বাংলাদেশের প্রথম জীবপ্রযুক্তি মেলা (বায়োটেক ফেয়ার) জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েই প্রথম অনুষ্ঠিত হয় তাঁর তত্ত্বাবধানে ২০১৪ সালে।

একজন দেশপ্রেমিক মানুষ হিসেবে তাকে শিক্ষার্থীরা পাশে পেয়েছে চব্বিশের গনঅভ্যুত্থানে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সহ সাভারে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শতশত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পুলিশ আর সন্ত্রাসদের হামলা থেকে বাঁচাতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে দেন অরুনাপল্লিতে। ডক্টর মোহাম্মদ শাহেদুর রহমান নতুন প্রজন্মের জীবপ্রযুক্তিবিদদের সুশিক্ষা ও প্রশিক্ষণে শিক্ষকতার পাশাপাশি প্রতিটি ন্যায্য আন্দোলন ও বিগত সরকারের দুর্নীতি বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কন্ঠস্বর ছিলেন।   

ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি ডিজি নিয়োগ হওয়ার পর থেকে উক্ত প্রতিষ্ঠান সহ সংস্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের দুর্নীতিবাজরা বিভিন্ন প্রকার চাপ প্রয়োগ এর মাধ্যমে তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছে। বাংলাদেশ বায়োটেক গ্রেজুয়েট এসোসিয়েশনের সকল শিক্ষার্থীবৃন্দ এর নেক্কার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

বায়োটেকনোলজির প্রতি ড. শাহেদুর রহমানের ভালোবাসা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমই তাকে এনআইবির মহাপরিচালক পদে যোগ্যতম প্রার্থী হিসেবে গড়ে তুলেছে। বাংলাদেশে বায়োটেকনোলজির উন্নয়ন এবং এনআইবি কে সত্যিকার অর্থে দেশের জীবপ্রযুক্তির বিকাশে সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিতে পারবেন বলে মনে করে বাংলাদেশের বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী এবং সেই সাথে অধ্যাপক ড. শাহেদুর রহমানকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োটেকনোলজি মহাপরিচালক হিসেবে নিযুক্ত করায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।