1. »
  2. খেলার মাঠ

বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন না কাজী সালাহউদ্দিন

শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৫:১৮ পিএম | আপডেট: শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৫:২৩ পিএম

বাফুফে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন না কাজী সালাহউদ্দিন

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন না কাজী সালাহউদ্দিন। ২০০৮ থেকে বাফুফের সভাপতি পদে থাকা সাবেক এই ফুটবলার বাফুফে ভবনে এসে এই ঘোষণা দেন। আগামী ২৬ অক্টোবর বাফুফের পরবর্তী নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।

আজ বাফুফে ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমি চার মেয়াদে দায়িত্বে ছিলাম। সেজন্য নিজেকে খুব ভাগ্যবান মনে করি, যে এমন সুযোগ আমার জীবনে এসেছে। এখন বাফুফের যে নির্বাচন আসছে, ২৬ অক্টেবরে; আমি এই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব না। এটা আমার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। এটা জানানোর জন্য এসেছি।’

বাফুফে নির্বাচন ২৬ অক্টোবর না করে পেছানোরও একটা দাবি ছিল। সালাহউদ্দিন জানিয়েছেন, এ বিষয়ে বাফুফে ফিফাকে চিঠি লিখেছিল। তবে ফিফা নির্বাচন পেছানোর আবেদনে নাকচ করে দিয়েছে। বাফুফের চিঠির উত্তরে ফিফা জানিয়েছে, নির্বাচন একদিনও পেছানো যাবে না।

গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের ফুটবল-সমর্থকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ ফুটবল আলট্রাস’ সালাহউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি তোলে। সংগঠনটি দুই দফায় বাফুফের সামনে গিয়ে বিক্ষোভও করেছে। এরপর সংগঠনটি সালাহউদ্দিনকে পদত্যাগের আলটিমেটামও দেয়।

তবে সেই আলটিমেটামকে গুরুত্ব না দিয়ে গত ১৩ আগস্ট সালাউদ্দিন জানিয়েছিলেন, তিনি পদত্যাগ তো করবেনই না, বরং আবার বাফুফের সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন। সেই ঘোষণার এক মাস পর নিজের অবস্থান বদলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত জানালেন সালাহউদ্দিন।

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন আহমেদ চৌধুরীকে ৬২-৪৯ ভোটে হারিয়ে প্রথমবার বাফুফে সভাপতি হন সালাহউদ্দিন। এর পর ২০১২ সালে আবার সালাহউদ্দিন সভাপতি নির্বাচিত হন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। 

এর পর ২০১৬ সালের নির্বাচনে তিনি প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েন, তবে শেষ পর্যন্ত কামরুল আশরাফ খানকে (৫০ ভোট) হারিয়ে বাফুফেতে নিজের সিংহাসন ধরে রাখেন সালাহউদ্দিন (৮৩ ভোট)। ২০২০ সালের নির্বাচনে সভাপতি পদে কাজী সালাউদ্দিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বাফুফের প্রাক্তন সহসভাপতি ও সাবেক ফুটবলার বাদল রায় এবং সাবেক ফুটবলার ও কোচ শফিকুল ইসলাম মানিক। সেই নির্বাচনে ৯৪ ভোট পেয়ে আবার জয়ী হন সালাহউদ্দিন। অসুস্থতার কথা বলে প্রথমে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিলেও শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ নিয়ে বাদল রায় পান ৪০ ভোট, মানিক পান ১ ভোট।