‘গুলিতে নিহতদের মৃত্যু সনদ পরিবর্তনের নির্দেশ ছিল’
সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১১:৫৬ এএম | আপডেট: সোমবার, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৪:১৯ পিএম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গুলিতে নিহতদের মৃত্যু সনদ পরিবর্তন করতে চিকিৎসকদের ‘প্রশাসন’ নির্দেশ দিয়েছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মোশতাক আহমেদ। তিনি বলেন, গুলির ঘটনাগুলোকে পাশ কাটিয়ে সাধারণ মৃত্যুর বর্ণনা দিয়ে মৃত্যু সনদ দিতে বলা হয়েছিল।
গতকাল রোববার (৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘হেফাজতে নির্যাতন ও দায়বদ্ধতা: প্রতিবন্ধকতা ও প্রতিকার’ শিরোনামে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় ডা. মোশতাক এসব কথা বলেন।
ঢামেকে এত লাশ ধারণের সক্ষমতাও ছিল না বলে উল্লেখ করেন ডা. মোশতাক। হেফাজতে নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের বিষয়ে তিনি বলেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুলিশি মামলায় রিমান্ডের শিকার ব্যক্তিদের দায়িত্বরত চিকিৎসক মানসিক ও শারীরিক চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তথাপি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ পরে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারে। বাকিরা শারীরিকভাবে সুস্থ হলেও মানসিকভাবে ট্রমার শিকার হয়ে বেঁচে থাকেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক একটি ঘটনা আমি শেয়ার করতে চাই। আজিমপুরে একজন ভদ্রলোক মারা গেছেন গানশট ইনজুরিতে (গুলিতে)। সেটা বলা হইছিল আমাদের, পুলিশের গুলিতে মারা গেছে, এটা ডেথ সার্টিফিকেটে (মৃত্যু সনদ) লেখা যাবে না। লিখতে হবে তিনি এক্সিডেন্টালি (দুর্ঘটনায় মৃত্যু) মারা গেছেন।
এমন নির্দেশনা কে দিয়েছিল, জানতে চাইলে মোশতাক আহমেদ বলেন, এটা হসপিটাল অথরিটি (কর্তৃপক্ষ)।
আরও পড়ুন
- ফ্যাসিবাদের পক্ষে লিখলে আমরা সেই কলম ভেঙে দেব : হাসনাত আবদুল্লাহ
- প্লট দুর্নীতির ঘটনায় হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের পৃথক মামলা
- বাতিল হলো পিএসসির ৬ সদস্যের নিয়োগ
- লন্ডনে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার দ্রুতই উন্নতি হচ্ছে
- সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতার মেয়াদ বাড়ল
- আগামী নির্বাচন হবে দেশের ইতিহাসের সর্বকালের সেরা : প্রধান উপদেষ্টা
- সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না ভারত : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ক্লিনিক থেকেই দেশবাশীর খোঁজখবর জানতে চাইলন খালেদা জিয়া