1. »
  2. তথ্য প্রযুক্তি

বন্যা কবলিত কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে টেলিযোগাযোগ সেবার উন্নতি

শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:২২ পিএম | আপডেট: শনিবার, ২৪ আগস্ট, ২০২৪ ১২:২৩ পিএম

বন্যা কবলিত কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে টেলিযোগাযোগ সেবার উন্নতি

বন্যা কবলিত এলাকায় উদ্ধারকাজ ও ত্রাণ তৎপরতা চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সেনাবাহিনী, নৌবাহিনীর সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকরা। এদিকে কুমিল্লা-নোয়াখালীতে সচল হচ্ছে মোবাইল টাওয়ার, উন্নতি নেই ফেনীর।

বিটিআরসির তথ্যমতে, শুক্রবার রাত থেকে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুরে টেলিযোগাযোগ সেবার উন্নতি হতে শুরু করেছে। বিদ্যুৎসংযোগ ফেরায় সেখানে মোবাইল নেটওয়ার্কও ধীরে ধীরে সচল হচ্ছে। টেলিযোগাযোগ সেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া জেলার সংখ্যাও কমেছে। তবে সবচেয়ে খারাপ অবস্থায় ফেনী। জেলাটিতে অচল হয়ে পড়া মোবাইল টাওয়ারগুলো চেষ্টা করেও সচল করা যাচ্ছে না। উলটো আরও বেশি সংখ্যক টাওয়ার অচলের খবর পাওয়া যাচ্ছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত জেলার প্রায় ৯৩ শতাংশ মোবাইল টাওয়ার অকেজো হয়ে পড়েছে। এতে উদ্বেগ বাড়ছে মানুষের।

সেখানে থাকা ৬৫৩টি টাওয়ারের মধ্যে ৬০৫টি অচল হয়ে পড়েছে। সচল আছে মাত্র ৪৮টি। সেগুলোও কতক্ষণ সচল রাখা সম্ভব হবে, তা নিয়ে শঙ্কায় অপারেটররা।

গত দুদিন ধরে খারাপ পরিস্থিতি থাকলেও কিছুটা উন্নতি হয়েছে কুমিল্লা ও নোয়াখালীর টেলিযোগাযোগ সেবা। নোয়াখালীর ১ হাজার ১৫১টি টাওয়ারের মধ্যে ১৭৫টি এবং কুমিল্লায় ২ হাজার ৫২৯টি টাওয়ারের মধ্যে ২৪৩টি অচল রয়েছে। বাকিগুলো সচল। অচল টাওয়ারগুলোও দ্রুত সচল করা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে অপারেটরগুলো।

এছাড়া লক্ষ্মীপুরে ৩৬, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০, চট্টগ্রামে ৮৬, খাগড়াছড়িতে ৩০, মৌলভীবাজারে ৪০, হবিগঞ্জে ৩ এবং সিলেটে ৭টি মোবাইল টাওয়ার অচল।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১০টি ভি-স্যাট প্রস্তুত রাখা হয়েছিল। সেগুলোর মধ্যে পাঁচটি ফেনী জেলার প্রশাসককে পাঠানো হয়েছে। ভি-স্যাটগুলো ব্যবহার করে টেলিযোগাযোগ সেবা সচল রাখার যথাসাধ্য প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।