1. »
  2. আন্তর্জাতিক

আদালতের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত থাই প্রধানমন্ত্রী

বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪ ০৪:৩২ পিএম | আপডেট: বুধবার, ১৪ আগস্ট, ২০২৪ ০৪:৩২ পিএম

আদালতের রায়ে ক্ষমতাচ্যুত থাই প্রধানমন্ত্রী

ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত একজন ব্যক্তিকে মন্ত্রিপরিষদে নিয়োগ দেয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনকে বরখাস্ত করেছে থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত। 

রায়ে বলা হয়েছে, তিনি মৌলিক নীতিকে ভয়াবহভাবে লঙ্ঘন করেছেন। ফলে ৫০০ আসনবিশিষ্ট থাই পার্লামেন্টকে এখন নতুন একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডয়েচে ভেলে। 

এতে বলা হয় এক বছরের কিছু কম সময় ক্ষমতায় ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিন। তার বিরুদ্ধে সাবেক সেনা সরকার মনোনীত ৪০ জন সিনেটরের একটি গ্রুপ মামলা করে। এর ওপর শুনানি করে বুধবার রায় দেন বিচারক পুনিয়া উদচাচোন। 

তিনি বলেন, একজন অপরাধীকে মন্ত্রীপরিষদে স্থান দেয়ায় শ্রেথাকে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার পক্ষে ৫-৪ ভোট দিয়েছেন বিচারকরা। এর ওপর ভিত্তি করে তাকে বরখাস্ত করা হলো। এর ফলে থাইল্যান্ড আবার নতুন করে এক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে পড়ল।

উল্লেখ্য, পিচিত বুয়েনবান নামের ওই মন্ত্রীকে নিয়োগ দিয়ে আইন লঙ্ঘন করেছেন কিনা শেথা থাভিসিন তা যাচাই করে দেখে আদালত। ২০০৮ সালে পিচিত বুয়েনবানকে ঘুষ বিষয়ক এক অপরাধে আদালত ৬ মাসের জেল দিয়েছিল। এ বিষয়টি সামনে আসার পর শ্রেথা থাভিসিনকে সহযোগিতা করতে তিনি মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন। কিন্তু তাতে শেষ রক্ষা হয়নি। সিনেটরদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে আদালত কার্যক্রম চালাতে থাকে। তবে কোনো রকম অপরাধ করার অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন শ্রেথা থাভিসিন। তিনি আশা করেছিলেন এবার টিকে যাবেন। 

মঙ্গলবার তিনি বলেন, আমি আমার উত্তমটি করেছি। ক্লোজিং স্টেটসমেন্ট দিয়েছি। বিষয়টি নির্ভর করে বিচার বিভাগের ওপর। কিন্তু বুধবার আদালতের রায়ের পর তিনি বলেছেন, অন্য যেভাবে সম্ভব তিনি সহায়তা অব্যাহত রাখবেন। বলেছেন, আদালতের রায়কে তিনি শ্রদ্ধা করেন। তার ভাষায়- রায়কে সম্মান করি আমি। পুনর্বার বলতে চাই প্রায় এক বছর ধরে দায়িত্ব পালন করেছি। দেশকে সততার সঙ্গে সামনে এগিয়ে নেয়ার জন্য শুভ কামনা নিয়ে চেষ্টা করেছি। 

তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এখন মন্ত্রিপরিষদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। উপপ্রধানমন্ত্রী ফুমথাম ওয়েবায়াচাই হচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী। নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের তারিখ এখনও নিশ্চিত হয়নি। 

২০২৩ সালের নির্বাচনের আগে যেসব প্রার্থী ছিলেন তাদের মধ্য থেকে এই ভোট হবে। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে একজন প্রার্থীকে বর্তমান নিম্নকক্ষের ৪৯৩ জন আইন প্রণেতার মধ্য থেকে অর্ধেকের বেশি অর্থাৎ কমপক্ষে ২৪৭টি ভোট পেতে হবে। যদি কেউই এই ভোট পেতে ব্যর্থ হন তাহলে নিম্নকক্ষ আবারও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করবে। ফলে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে আছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পায়েটোংচার্ন সিনাওয়াত্রা (৩৭), ফুয়ে থাই পার্টির বর্ষীয়ান সদস্য চাইকাসেম নিতিসিরি।