1. »
  2. শিক্ষা

স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, দুই জনের সনদ বাতিল

সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪ ১২:৫৩ পিএম | আপডেট: সোমবার, ১১ মার্চ, ২০২৪ ১২:৫৩ পিএম

স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, ৫ শিক্ষার্থীকে স্থায়ী বহিষ্কার, দুই জনের সনদ বাতিল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ধর্ষণের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমানসহ সাত জনের শাস্তি স্থায়ী করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে পাঁচ জনকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার এবং অপর দুই জনের একাডেমিক সনদ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মূল অভিযুক্ত আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: মোস্তাফিজুর রহমান ও তার সাহায্যকারী আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: মুরাদ হোসেনের সনদ স্থায়ীভাবে বাতিল করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অন্যদিকে বাকি অভিযুক্তদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের সবাইকে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত করা হয়েছে। এ ছাড়া বহিরাগত অভিযুক্ত মামুনুর রশিদ মামুনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়টি বহাল থাকবে। 

স্থায়ী বহিষ্কৃতরা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪৬ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোস্তফা মনোয়ার সিদ্দিকী সাগর, ৪৪ ব্যাচের শিক্ষার্থী শাহ পরান, ৪৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী মো: হাসানুজ্জামান ও উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের ৪৭ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর। তবে স্থায়ী বহিষ্কৃতদের মধ্যে আরেক শিক্ষার্থীর নাম জানা যায়নি।

এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি এক সিন্ডিকেট সভায় এ ঘটনায় দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির সুপারিশের জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছিল।

জানা গেছে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ আবাসিক হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে সংলগ্ন বোটানিক্যাল গার্ডেনে পালাক্রমে ধর্ষণ করেন আসামি মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদ মামুন। ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে  মামলা করেন।