1. »
  2. শিক্ষা

ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ১২:৩৬ পিএম | আপডেট: মঙ্গলবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪ ০৩:০৮ পিএম

ভিকারুননিসার শিক্ষক মুরাদ গ্রেপ্তার, ৭ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ

রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের আজিমপুর শাখার গণিত শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ আদালতে তার ৭ দনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ।

গতকাল সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কলাবাগানের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাত ১টার দিকে লালবাগ থানার ওসি খন্দকার মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ভিকারুননিসার এক শীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে দায়ের করা নারী ও শিশু নির্যাতন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

সোমবার রাতে কলেজের পরিচালনা কমিটির জরুরি সভায় শিক্ষক মুরাদ হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এর আগে শিক্ষক মুরাদ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধে রাজধানীর লালবাগ থানায় মামলা করা হয়। সালমা হক নামের এক অভিভাবক তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ১৭/৩৮।

মামলার আবেদনে বলা হয়, আমার মেয়ে বর্তমানে ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজের আজিমপুর দিবা শাখায় ৮ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত। ২০২২ সালে আমার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে অধ্যয়নকালীন সময়ে মুরাদ হাসান সরকার শ্রেণিতে গণিতের ক্লাস নেওয়ার সময় তার ব্যক্তিগত বসার ডেস্ক ছেড়ে চেয়ার টেনে নিয়ে আমার মেয়ের বসার বেঞ্চের সামনে নিকটে বসতো। আমার মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ক্লাস ক্যাপ্টেন ছিল এবং গণিতে মেধাবী ছিল। যে কোনো গণিত প্রতিযোগিতায় মেয়ের দিকে বিবাদী বেশি মনোযোগ দিত এবং আমার মেয়ের ব্যক্তিগত বইয়ের পিছন দিকে মেয়ের নাম লিখত। প্রায় সময় বিবাদী আমার মেয়ের মেধার বিষয়ে প্রশংসা সুলভ কথাবার্তা বলে মেয়েকে বিবাদীর ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে পড়ার জন্য আগ্রহ সৃষ্টি করত। সেই প্রেক্ষিতে আমার মেয়ে গত বছর ৭ম শ্রেণিতে পড়ার সময় বিবাদীর ব্যক্তিগত কোচিং সেন্টারে ভর্তি হয়।

মামলার আবেদনে আরও বলা হয়, পরবর্তীতে বিবাদী প্রায় সময়ই কোচিং শেষে কৌশলে রেখে আমার মেয়েকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করতো এবং শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দিত। এভাবে দিনের পর দিন চলতে থাকে এবং বিভিন্ন স্পর্শ কাতর স্থানে পোশাকের উপরে এবং ভিতরে হাত ঢুকিয়ে স্পর্শ করে চাপ দিত। মেয়ে জিন্স ও টি শার্ট পরে কোচিং সেন্টারে আসলে বিবাদী সেগুলো পরিধান না করে ঢিলেঢালা সেলোয়ার কামিজ পড়ে আসার জন্য বলত।