শিক্ষক আসিফ মাহতাবের সঙ্গে চুক্তি নবায়ন করবে না ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি
সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪ ০১:১৪ পিএম | আপডেট: সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০২৪ ০৩:৫৫ পিএম
সম্প্রতি সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ‘শরীফ থেকে শরীফা’ গল্পের পাতা ছিঁড়ে ফেলায় চাকরিচ্যুত হন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব। কী কারণে গত ২০ জানুয়ারি তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছিল সে ব্যাখ্যা দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয়।
আজ সোমবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়টির জনসংযোগ কর্মকর্তা ফাতিয়াস ফাহমিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ওই শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করার বিষয়টি পরিষ্কার করা হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব মত ও আদর্শের জন্য সহনশীলতা ও সম্মানের ভিত্তিতে গঠনমূলক আলোচনা, বিতর্ক এবং পারস্পরিক মতবিনিময়ে বিশ্বাস করে।
এতে বলা হয়, ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে জাতীয় সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি সম্পূর্ণরূপে অগ্রহণযোগ্য আচরণ, যা ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমর্থন করে না। সাম্প্রতিক সময়ে ব্র্যাকের শিক্ষক আসিফ মাহতাব উৎসের সপ্তম শ্রেণির জাতীয় পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠা ছেঁড়া এবং পাবলিক ফোরামে অন্যদের একই কাজ করতে বলার ঘটনাটিকে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি একটি ধ্বংসাত্মক কাজ বলে মনে করে। এ ধরনের অশিক্ষকসুলভ আচরণকে তারা কোনোভাবেই সমর্থন করে না। একারণে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি ২০২৪ সালের স্প্রিং সেমিস্টারের জন্য আসিফ মাহতাবকে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে নতুন চুক্তি না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ইউনিভার্সিটি মাহতাবকে এই সেমিস্টারের প্রস্তুতিমূলক কাজে তার সময় ও প্রচেষ্টার জন্য পারিশ্রমিক প্রদান করবে।
এতে আরো বলা হয়, ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সব ক্ষেত্রে দেশের সংবিধান ও আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং দেশের প্রচলিত বিধিবিধান মেনে চলার বিষয়ে অঙ্গীকারবদ্ধ। তাই ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি সমকামিতার প্রচার ও প্রসারের সঙ্গে যুক্ত, সামাজিক মাধ্যমে কিছু মহলের এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি প্রত্যেকটি মানুষের সমান অধিকার এবং সম্ভাবনা বিকাশের পথে সমান সুযোগ সৃষ্টিতে বিশ্বাস করে।
গত ১৯ জানুয়ারি রাজধানীর ইন্সটিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে আয়োজিত এক সেমিনারে অংশগ্রহণকারীদের ৮০ টাকা দিয়ে বইটি বাজার থেকে কিনতে বলেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আসিফ মাহতাব। পরে বইয়ের ট্রান্সজেন্ডারের গল্প থাকা দু’টি পাতা ছিঁড়ে আবার দোকানে ফেরত দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি। সেমিনারে তিনি সপ্তম শ্রেণির বই নিয়ে সমালোচনাও করেন। আর সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপলোড করেন। তার দাবি, সপ্তম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ে ‘ট্রান্সজেন্ডারের গল্প’ ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাই করা হচ্ছে।
এরপর রোববার (২১ জানুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১২টায় নিজের ফেসবুকে মাহতাব লেখেন, আমাকে এইমাত্র ফোন করে জানানো হয়েছে যে আমি যাতে বিশ্ববিদ্যালয়ে আর ক্লাস নিতে না যাই।
এরপর সামাজিক মাধ্যমে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়। পরবর্তীতে দেশজুড়ে তুমুল আলোচনা সমালোচনার সৃষ্টি হলে এ গল্পটি বিশ্লেষণ করার জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কমিটির কাজ শুরু করেছে।
আরও পড়ুন
- ইবি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ
- শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পঙ্গু হওয়ার পথে : শিক্ষা উপদেষ্টা
- এসএসসি পরীক্ষা শুরু ১০ এপ্রিল
- রাবিতে পোষ্য কোটা বহাল রাখার প্রতিবাদে মানববন্ধন
- ঢাবিতে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা কেন বাতিল নয় : হাইকোর্ট
- প্রাথমিকে থাকছে না পোষ্য কোটা : উপদেষ্টা
- সংকট কাটিয়ে সম্ভাবনার নতুন স্বপ্ন রাকসু ঘিরে
- ৪৭ বিসিএসের আবেদন শুরু ১০ ডিসেম্বর, শূন্যপদ ৩৬৮৮