1. »
  2. শিক্ষা

হিজাব কাণ্ডে উত্তাল কুমিল্লা নার্সিং কলেজ

বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪ ১২:২১ পিএম | আপডেট: বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী, ২০২৪ ১২:৪১ পিএম

হিজাব কাণ্ডে উত্তাল কুমিল্লা নার্সিং কলেজ

কুমিল্লার নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের শিক্ষার্থীদের হিজাব কেটে দিয়েছেন ওই কলেজেরই সিনিয়র শিক্ষিকা মিরননাহার। এ ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। 

গতকাল বুধবার কলেজ ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলেজ ক্যাম্পাস। এ সময় শিক্ষার্থীরা শিক্ষিকার পদত্যাগের দাবিতে নানান স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত করে তোলে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণ। 

জানা যায়, গত ২১শে জানুয়ারি নার্সিং কলেজের ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর হিজাব কেটে দিয়েছেন আমাদের নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা মিরননাহার। পরে শিক্ষার্থীদের হিজাব কেটে ছোট করে পরার কথা বললে শিক্ষার্থীরা এতে দ্বিমত পোষণ করেন। কিন্তু ওই শিক্ষিকা শিক্ষার্থীদের কোনো কথার তোয়াক্কা না করেই বার বার হিজাব কাটার কথা বলেন ও বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দেন। 

এ বিষয়ে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদাউস বলেন, এভাবে যদি আমাদের হিজাব কেটে পরতে বলা হয়, বা কেটে ফেলা হয় তাহলে আমি বলবো মেয়েদের নিরাপত্তা কোথায়। ক্যাম্পাসে আমাদের শালীনতা কীভাবে আমরা বজায় রাখবো। 

শিক্ষার্থী মৌরী রহমান বলেন, আমাদের প্রথম বর্ষ, দ্বিতীয় বর্ষ এবং তৃতীয় বর্ষ শিক্ষার্থীদের বেল্ট দ্বারা চিহ্নিত করা হয়।

আমরা মেয়েরা যারা হিজাব বড় করে পরি তাদের বেল্ট দেখা যায় না। তাই আমাদের হিজাব কেটে দেয়া হয়েছে। আমি বলবো বেল্ট দ্বারাই কেন চিহ্নিত করতে হবে, অন্য কোনো উপায়ও তো এটা করা যায়। আমি আমাদের ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা চাই। মেয়েরা যাতে শালীনভাবে চলাফেরা করতে পারে এটা চাই। 

৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী সুমাইয়া আকতার বলেন, আমাদের এই বিষয়টির সুষ্ঠু সমাধান না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাবো। 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নার্সিং কলেজের শিক্ষিকা মিরননাহার বলেন, একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমার এটি করা ঠিক হয়নি। এ বিষয়ে আমি অনুতপ্ত। শিক্ষার্থীদের নিয়মের মধ্যে আনার জন্য আমি এটি করেছিলাম। তবে হিজাব কেটে দেয়া বা কাঁচি হাতে নেয়া আমার উচিত হয়নি। দ্রুত আমাদের শিক্ষকদের সঙ্গে নিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়টির একটি সুষ্ঠু সমাধান করবো।

তবে কুমিল্লা নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কলেজের নার্সিং ইন্সট্রাক্টর ইনচার্জ আকবরী খানমকে মুঠোফোনে পাওয়া যায়নি।