1. »
  2. সমগ্র দেশ

ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন ছাত্র-জনতা

শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৪ এএম | আপডেট: শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর, ২০২৫ ১১:৩৪ এএম

ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন ছাত্র-জনতা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের যোদ্ধা এবং ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুর প্রতিবাদে রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হওয়া শুরু করেছেন ছাত্র-জনতা। 

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে শাহবাগে ছাত্র-জনতা একত্রিত হতে থাকেন। 

দেখা গেছে, কেউ মিছিল সহকারে কেউবা স্ব-উদ্যোগে শাহবাগে আসছেন। তাদের হাতে পতাকা, মুখে স্লোগান। ফ্যাসিবাদের কালো হাত ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও, আওয়ামী লীগের আস্তানা এই বাংলায় হবে না, হাদি ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না, স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। পরে ছাত্র-জনতা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের দিকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে।

আন্দোলনকারীরা বলেন, হাদির হত্যাকারীর বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ ঘরে ফিরবেন না। ঘটনা ঘটার ৭ দিন পরেও কেন হত্যাকারী গ্রেপ্তার হলো না। 

আজ জুম্মার নামাজ শেষে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গতকাল হাদির মৃত্যুতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে ছাত্রদল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।

হাদির অকাল মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বিএনপির সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা।

তারেক রহমান বলেন, হাদি ছিলেন এক সাহসী রাজনৈতিক কর্মী এবং নির্ভীক কণ্ঠস্বর, যিনি সব সময় অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়াতেন। আমি শরীফ ওসমান হাদীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডে গভীরভাবে শোকাহত।

 এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। 

জুলাই অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক শরিফ ওসমান হাদি গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরে গণসংযোগকালে চলন্ত রিকশায় থাকা অবস্থায় আততায়ীর গুলিতে আহত হন। গুলিটি তার মাথায় লাগে। ঢাকা এবং পরে সিঙ্গাপুরে দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে বৃহস্পতিবার রাতে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। তার এই মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা এখন এক উত্তাল ও থমথমে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে।